শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১
ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী।।
বরিশালের মুলাদীতে আড়িয়াল খাঁ, ছৈলা, জয়েন্তী ও নয়া ভাঙ্গনী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও ইউনিয়নের ঘরবাড়ি, মাছের খামার, ছোট-বড় পুকুর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নদীর পানি বৃদ্ধি ও টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে প্রায় হাজার হাজার মাছের ঘের। এতে উপজেলার ঘের মালিকসহ প্রায় দশ সহস্রাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জন প্রতিনিধিরা। জয়ন্তী, ছৈলা, আড়িয়াল খাঁ ও নয়াভাঙ্গনী নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাছের ঘের ভেসে যায়।
এছাড়া চরাঞ্চলের অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সফিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি ও বর্ষণের ফলে সফিপুর ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়া ইউনিয়নের সকল মাছের খামার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে মাছ ভেসে গেছে। বাটামারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সিকদার জানান, আড়িয়াল খাঁ ও জয়ন্তী নদীর পানি বৃদ্ধিতে তার ইউনিয়নের ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। কাজিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মন্টু বিশ্বাস জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে তাঁর ইউনিয়নের চরকমিশনার ফাইভস্টার মৎস্য খামারের প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে।
ওই ইউনিয়নের আরও এক হাজার মাছের খামার প্লাবিত হয়ে মাছ ভেসে গেছে। মুলাদী পৌর সদরে সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শুকুর আহমেদ খানের মাছের খামারসহ আরো অন্যান্য মৎস্য ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। এ সকল খামারে কাজ করা খেটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও পানি বৃদ্ধির কারণে মুলাদী-মীরগঞ্জ সড়কের বেলী ব্রীজ থেকে বেলী ব্রীজ মোড় পর্যন্ত সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে গাড়ী চলাচলে বিঘ্ন হয়েছে। উপজেলা বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গারমোনা গ্রামের বয়স্ক গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আমি ২০ বছরেও এতো পানি দেখেনি।
উপজেলা মৎস্য অফিসার সুব্রত গোস্বামী জানান, মুলাদী উপজেলার ইউনিয়নের ও পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারীদের তালিকা হাতে পেলে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়সহ ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারীদের সহায়তার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা প্রেরণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ্রা দাস জানান, উপজেলার মৎস্য চাষীদের তালিকা ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য উপজেলা মৎস্য অফিসকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।